সোফিয়া লরেন

ইতালীয় অভিনেত্রী

সোফিয়া লরেন ওএমআরআই (ইংরেজি: Sophia Loren) (জন্ম: ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) একজন ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং আন্তর্জাতিক যৌন আবেদনের প্রতীক[১] ১৯৬১ সালে তিনি টু ওমেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি ইংরেজি ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় অভিনয়ের জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

সোফিয়া লরেন
ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ ৮১তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে লরেন
জন্ম
সোফিয়া ভিলানি সিকোলনে
অন্যান্য নাম সোফিয়া ল্যাজারো
সোফিয়া সিকোলনে
পেশা অভিনেত্রী
কর্মজীবন ১৯৫০ – বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী কার্লো পন্টি (১৯৫৭ - ১৯৬২, ১৯৬৬ - ২০০৭ (মৃত্যু অবধি))
ওয়েবসাইট sophialoren.com

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

 
১৯৩৪ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর রোমের ক্লিনিকা রেগিনা মার্গারিটা হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম সোফিয়া ভিললানি সিকোলোন। তার বাবা নাম রিকার্ডো সিকোলনে, এবং মা রোমিল্ডা ভিলানি, কিন্তু তারা বিবাহিত ছিলেন না। পরবর্তীতে সিকোলনে ভিলানিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান ও তাদের ছেড়ে চলে যান। রোমিল্ডা ছিলেন একজন পিয়ানো শিক্ষক ও অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল, যদিও তিনি কোনো সহায়তা পান নি। সিকোলনে চলে যাবার পর রোমিল্ডা, তার দুই মেয়ে লরেন ও মারিয়াসহ (লরেনের বোন) পুজোলির কাছে ফিরে আসেন এবং বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু করেন।

১৯৩৪ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর রোমের ক্লিনিকা রেগিনা মার্গারিটা হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম সোফিয়া ভিললানি সিকোলোন।[২] তার বাবা নাম রিকার্ডো সিকোলনে, এবং মা রোমিল্ডা ভিলানি, কিন্তু তারা বিবাহিত ছিলেন না। পরবর্তীতে সিকোলনে ভিলানিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান ও তাদের ছেড়ে চলে যান। রোমিল্ডা ছিলেন একজন পিয়ানো শিক্ষক ও অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল, যদিও তিনি কোনো সহায়তা পান নি। সিকোলনে চলে যাবার পর রোমিল্ডা, তার দুই মেয়ে লরেন ও মারিয়াসহ (লরেনের বোন) পুজোলির কাছে ফিরে আসেন এবং বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পুজোলির অস্ত্রকারখানা মিত্রবাহিনীর একটি অন্যতম লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়। গণগ্রেপ্তারের সময় লরেন যখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছিলেন তখন শার্পনেলের আঘাতে তিনি আহত হন। আঘাতটি তার চিবুকে ছিল। পরবর্তীতে তার পরিবার নেপলসে চলে যায়, এবং আশ্রয়ের খোঁজে তারা দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি ঘোরা শুরু করেন।

যুদ্ধের পরে পরিবারটি আবার পুজোলির কাছে ফিরে আসে। ততোদিনে দাদী লুইসা বসার ঘরে একটা পানশালা খুলেছেন এবং চেরি মদ বিক্রি শুরু করেছেন। সেই পানশালায় ভিলানি পিয়ানো বাজাতেন, বোন মারিয়া গান গাইতেন এবং লরেন টেবিলে টেবিলে খাবার পরিবেশন করতেন।

বিয়ে সম্পাদনা

কার্লো পন্টির সাথে লরেনের প্রথম দেখা হয় ১৯৫০ সালে এক সুন্দরী প্রতিযোগিতায়, যেখানে পন্টি ছিলেন একজন বিচারক।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. গান্ডল, স্টিফেন (২০০৭)। বেলিসিমা: ফেমিনিন বিউটি অ্যান্ড দ্য আইডিয়া অফ ইতালি। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা পৃ. ১৫৭। আইএসবিএন 0300123876 
  2. "Lòren, Sophia nell'Enciclopedia Treccani"ত্রেচ্চানি (ইতালীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা